ডেস্ক নিউজ:
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক “মর্জিয়া বেগম” ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত হলেন। তিনি একজন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে একসেস টু ইনফরমেশন ( a2i) শিক্ষক বাতায়ন কর্তৃপক্ষ ১৬/০২/২০২২ থেকে তাকে জেলা অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মনোনীত করে শিক্ষক বাতায়নে প্রকাশ করেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে এ বিভাগ যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেই যাচ্ছেন। দেশ ও বিদেশে মাইলফলক হিসেবে ভূয়সী প্রশংসা ও পাচ্ছেন a2i দ্বারা পরিচালিত তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ।
মর্জিয়া বেগমের জন্ম পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সমুদ্রপাড়ের মেরিনড্রাইভ সড়কের সবুজ, মনোরম, পাহাড়ী ঝর্ণাবেষ্টিত, সমুদ্রের নীলজলরাশি ঘেরা একমাত্র আকর্ষনীয় ও নান্দনিক গ্রাম হিমছড়িতে।
তাঁর আরেক ভাই রামু সরকারি কলেজের ফিজিক্সের প্রভাষক মোবারক খানও ICT4E জেলা অ্যাম্বাসেডর।
অদম্য মেধাবী মর্জিয়া বেগম হিসাব বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর অর্জন করেছেন। পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি শিক্ষা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ডিগ্রি লাভ করেন। তাছাড়াও চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে পেশাগত শিক্ষায় বি.এড ডিগ্রি লাভ করেন।
মর্জিয়া একজন কথাশিল্পী, উপন্যাসিক এবং কবি। পাঠক তার লেখার আকর্ষনীয় ক্ষমতায় ডুবেছেন প্রতিবার। কখনও প্রেম, কখনও বিরহ কিংবা রুঢ় বাস্তবতা তুলে এনেছেন তার প্রতিটি লেখায়। এবার তার পদচারনা নতুনভাবে। তিনি ২০২১ বইমেলায় প্রকাশিত “এইতো বেঁচে আছি” কাব্যগ্রন্থের লেখক। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “জীবন নদী” দিয়েই তার কবিতার ছন্দ, যা একুশে বই মেলা-২০২০’তে প্রকাশিত হয়। তার প্রথম উপন্যাস “হলুদ খামে নীল জোসনা” প্রকাশনায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, কাব্যসংকলনের নিয়মিত ও জনপ্রিয় লেখক।
আশা করি তিনি কক্সবাজার জেলায় শিক্ষার দ্যোতি ছাড়িয়ে দেশ-বিদেশের খ্যাতি অর্জন করবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।